আমের যত পুষ্টিগুণ ও আম খাওয়ার উপকারিতা

আমের স্বাদ কিংবা গন্ধের সঙ্গে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে না নিশ্চয়ই! অত্যন্ত সুস্বাদু এই ফলের জন্য সারা বছর অপেক্ষা করে থাকেন বাঙালি ভোজনরসিকরা। সব বয়সীর কাছেই এটি পছন্দের ফল। সুমিষ্ট ফল আম হলো ফলের রাজা। খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি দেখতেও লোভনীয়। আমের আছে অসংখ্য উপকারিতা। এটি খাওয়া যায় নানাভাবে। আম কাঁচা অবস্থায় আচার, চাটনি, জুস ইত্যাদি তৈরি করে খাওয়া যায়। পাকা আম এমনি খেতেই সুস্বাদু। তবে এটি দিয়েও তৈরি করা যায় আমসত্ত, জুস, পুডিং, কেক, কাস্টার্ড, সালাদ ইত্যাদি মজার খাবার। আম তো খাবেনই, তবে তার আগে এই পুষ্টিগুণ ও আম খাওয়ার উপকারিতা জেনে রাখা জরুরি।
আমের যত পুষ্টিগুণ:
পুষ্টি উপাদানে ভরপুর উপকারী ফল আম। এতে আছে প্রচুর খনিজ লবণ এবং বিভিন্ন ভিটামিন।
ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি৬ রয়েছে আমে। এছাড়া আছে অ্যামাইনো এ্যাসিড, পটাসিয়াম ও কপার। আমে থাকা বিটা ক্যারোটিন, লুশিয়েন জিলাইক এ্যাসিড, আলফা ক্যারোটিন,পলি পিথানল কিউরেচিন কাম্ফারল, ক্যফিক এ্যাসিড ইত্যাদিও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
আমের যত ধরন:
আমের রয়েছে নানা ধরন বা প্রজাতি। ধরন অনুসারে এর স্বাদ, রং ও গন্ধে ভিন্নতা দেখা যায়।
আমের পরিচিত প্রজাতিগুলোর মধ্যে রয়েছে খিরসা, ফজলি, ল্যাংড়া, হিমসাগর, আম্রপালি, মল্লিকা, সুবর্ণরেখা, গোপালভোগ, মিশ্রিদানা, নিলাম্বরী, গোপাল খাস, কেন্ট, কালীভোগ, কাচামিঠা, আলফানসো, বারোমাসি, সূর্যপূরী, পাহুতান, ত্রিফলা, অরুনা ইত্যাদি। পৃথিবীতে প্রায় ৩৫ প্রজাতির আম রয়েছে।

আসুন তাহলে এবার জেনে নিন আম খাওয়ার উপকারিতা গুলো সম্পর্কে –
১। রক্তচাপ ঠিক রাখেঃ
আমে আছে প্রচুর পটাশিয়াম। যেকোনো পরিশ্রমের পর আম খেলে
পটাশিয়ামের ঘাটতি অনেকটাই পূরণ হয়। পটাশিয়াম রক্তচাপ কমাতে সহায়তা করে।
২। হৃদরোগ দূরে রাখেঃ
বর্তমানে অন্যতম ভয়ের কারণ হচ্ছে হৃদরোগ। এই রোগ থেকে বাঁচতে আম খান। কারণ এতে আছে প্রচুর বিটা ক্যারোটিন। এটি ভিটামিন এ এর উৎস। আম খেলে হৃদরোগ, ভুলে যাওয়ার সমস্যা, আথ্রাইটিসের মতো রোগ দূরে থাকে।
৩। মিনারেলের ঘাটতি দূর করেঃ
শরীরে মিনারেলের ঘাটতি দেখা দিলে নানা অসুখ বাসা বাঁধতে পারে। আম খেলে এই ঘাটতি অনেকটাই পূরণ হয়। শরীর থেকে বের হয়ে যাওয়া প্রয়োজনীয় লবণের ঘাটতিও পূরণ করে আম।
৪। স্মৃতিশক্তি বাড়ায়ঃ
শিশুকে আম খেতে দেওয়া উচিত কারণ এটি স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। আমে আছে গ্লুটামিক অ্যাসিড যা মস্তিষ্কের কোষ উজ্জীবিত করে থাকে। ফলে বাড়ে মনোযোগ। তাই মস্তিষ্কের চাপ কমাতে আম খাওয়া যেতে পারে।
৫। ঠান্ডার সমস্যা দূর করেঃ
ঠান্ডাজনিত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে আম। আমে আছে প্রচুর ভিটামিন এ এবং ডি। এই দুই ভিটামিন ঠান্ডাজনিত সমস্যা দ্রুত উপশম করে। তাই ঠান্ডা কিংবা ফ্লু দেখা দিলে আম খেতে পারেন। এটি আপনাকে সুস্থ হতে সাহায্য করবে।

৬। হজমে সহায়কঃ
হজমের নানা সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেকেই। সেসব সমস্যা থেকেও মুক্তি পেতে সাহায্য করতে পারে আম। এই ফলে আছে প্রচুর আঁশ। তাই আম খেলে হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত হয় কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দূর করতেও আম সমানভাবে কাজ করে থাকে।
৭। চোখ ভালো রাখেঃ
আমে রয়েছে বিটা ক্যারিটিন যা, ভিটামিন এ প্রস্তুত করতে সিদ্ধহস্ত। ভিটামিন এ আপনার চোখ ভালো রাখবে।
আম খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সতর্কতা:
আম উপকারী ফল হলেও এটি একসঙ্গে খুব বেশি খাওয়া ঠিক নয়।কারণ পাকা আমে চিনির পরিমাণ বেশি থাকে। তাই এই ফল খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়। ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে বেশি আম খাওয়া ক্ষতিকর। যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা আম খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। একটি মাঝারি আমে তিন গ্রাম ফাইবার থাকে। তাই একসঙ্গে বেশি আম খেলে বদ হজম বা ডায়েরিয়া হওয়ার ভয় থাকে।
লিচু কেন খাওয়া দরকার? আসুন আমরা লিচু খাওয়ার উপকারীতা জেনে নেই।
Launch the robot and let it bring you money. https://slift.blueliners07.de/slift
Even a child knows how to make money. Do you? https://slift.blueliners07.de/slift